রামু বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের সবচেয়ে সুন্দর উপজেলা।কক্সবাজার থেকে রামু উপজেলা ২৫ কিলোমিটার পুর্ব দিকে অবস্থিত। রামু উপজেলার আয়তন ৩৯১.৭১ বর্গ কিলোমিটার। ১৯০৮ সালে রামু থানা গঠিত হয় অর্থাৎ এটি অনেক পুরাতন একটি থানা।
জাতীয় পার্টি সাবেক চেয়ারম্যান পল্লী বুন্ধ প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময় ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। রামু উপজেলায় বর্তমানে ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে।কক্সবাজারের বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস এর মতে রামু যেন একখন্ড থাইল্যান্ড।
রামু তে দেখার মত আর্কষনী জায়গা ও স্থাপনাঃ
১।রামু রাবার বাগান
২।নারকেল বাগান
৩।হিমছড়ি ঝর্ণা ও জাতীয় উদ্যান
৪।রামু সীমা বিহার
৫।রামু জাদী পাহাড়
৬।উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ১০০ ফুট শয্যা বিশিষ্ট বৌদ্ধ মূর্তি
৭।লাল চিং/সাদা চিং
৮।রাংকূট বৌদ্ধ বিহার
৯।রামু সেনানিবাস
রামু রাবার বাগানঃ
কক্সবাজারে যাবার পুর্বে মনে হতে পারে শুধু সাগরের তীরই একমাত্র দেখার স্থান।কিন্তু তা নয়।আরো অনেক দর্শনীয় স্থান আছে।যেমন রামুর রাবার বাগান।যারা গাছ নিবিড় সবুজ অরন্যে হারিয়ে যেতে চায়, চায় পাখির গান শুনতে। মিশতে চায় ও উপভোগ করতে চায় স্থানীয় রাখাইন ও বৌদ্ধদের জীবনাচরন।তাদের জন্য রামু রাবার বাগান হতে পারে উৎকৃষ্ট স্থান।
তৎকালীন পুর্ব পাকিস্থানে ১৯৬০-৬১ সালে অনাবাদি জমি জরিপ পরিচালনা করা হয়।তার পর অনাবাদি জমিতে গবেষণার মাধ্যমে রামুতে রাবার চাষাবাদ শুরু করা হয়। রামুর ঐতিহ্যবাহী এ রাবার বাগান আজ দেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে দখল করে নিয়েছে ভ্রমন প্রিয় মানুষের মাঝে।
বর্তমানে স্থায়ী প্রভাবশালীদের দখলের পরও বাগানের বিস্তৃতি ২ হাজার ৬৮২ একর। এর মধ্যে ১ হাজার ১৩০ একর এলাকা থেকে লিকুইড বা কষ সংগ্রহ করা হয়।যা থেকে উৎপাদন হয় রাবার। রামুর রাবার বাগানে উৎপাদনক্ষম গাছ আছে প্রায় ৫৮ হাজার। এসব গাছ থেকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ কেজি রাবার উৎপাদন হয়।
রামু রাবার বাগান - www.ourcoxsbazar.com |
রামু রাবার বাগানের জন্য বিখ্যাত।অনেক পুর্বে যখন নাগরিক সভ্যতার ছোঁয়া এখানে আসে নাই।তখন রাবার বাগানে বসে সাগরে গর্জন শোনা যেত। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক রামু রাবার বাগান (Ramu Rubber Garden) পরিদর্শন করতে আসেন। পাহাড় আর সমতলের অপূর্ব মিলনের অপুর্ব দৃশ্য উপভোগ করে মুগ্ধহন ভ্রমন পিপাসুরা। কক্সবাজার এসে মহেশখালী ও বামু ভ্রমন অবশ্য করা উচিত।
এখানে বাগান র্কতৃপক্ষের একটি দৃষ্টিনন্দন বিশ্রামাগার (রেষ্ট হাউস) রয়েছে।কল্পনা করুন রাবার গাছের সবুজ পাতাগুলো বাতাসের তালে তালে ছন্দ তুলে দুলছে।আশে পাশে রাখাইন ও বৌদ্ধ তরুনীদের বিচরণ। ঘন কালো এসব গাছের মাঝখান দিয়ে হেঁটে গেলে সবুজের সমারোহে হারিয়ে যাবে মন। গাছের ছায়ায় বসলে জুড়িয়ে যাবে শরীর ও প্রাণ।
ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়, টিলা ও বিস্তৃত সমতল পাহাড়ের মধ্যে এ রাবার বাগানের চারপাশে তাকালেও দেখা মিলবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।বিশেষ করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিখ্যাত প্যাচঘোর অনুষ্ঠানের সময় গেলে অপরুপ রঙ্গিন সাঁজের তরুন তরুণীদের দেখে মন ভালো হয়ে যাবে।তাদের আতিথেয়েতাও মুগ্ধ করার মত।এখকার তাড়ি নামের একধরনের পানীয় উৎসবের সময় অনেকেই পান করে থাকে।
যারা রামুর বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির ও বিহার দেখতে যাবেন তারা চাইলে এক সাথে রাবার বাগান ও ঘুরে আসতে পারেন!!
0 Comments