তাইওয়ান ভ্রমণে গেলেই মিলবে নগদ টাকা (Taiwan)


তাইওয়ান এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ।বিশ্বের অনেক দেশ পর্যটন আকর্ষন করতে অনেক ধরনে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।যার অনেক গুলোই ব্যতিক্রম।এই রকম ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে এশিয়ার উত্তেজনা পুর্ণ স্বায়াত্বশাসিত দেশ তাইওয়ান।

যেখানে ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।উপরন্তু আপনাকে নগদ অর্থ দেওয়া হবে আপনাকে।আর এই কথাটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। স্বশাসিত এই দ্বীপের সরকারী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছ। 

তাইওয়ানে একজন পর্যটক ঘুরতে গেলে পর্যটক ১৬৫ মার্কিন ডলার পাবেন।যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৮হাজার টাকা।এছাড়া কেউ যদি একটি দল নিয়ে ঘুরতে যায়, তাদের কেও নগন অর্থ দেওয়ার চিন্তা করছে এই দেশ।

যদিও আপাতত দৃষ্টিতে মনে হবে এটি একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা।আমাদের কাছে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা মনে হলেও তাইওয়ান কতৃপক্ষ তা বাস্তবায়নে কাজ করে চলছে।

২৩শে ফেব্রুয়ারী সরকার প্রধান চেন চিয়ে জেন ঘোষনা করেন যে ২০২৩ সালে তাদের দেশে ৬০ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটানো লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। 

২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১ কোটিতে পৌঁছানোর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে এই প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছেন।

তাইওয়ানীজ পর্যটন সম্প্রসারণে কাজ করা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে তাইওয়ান পর্যটন ব্যুরো। এই প্রতিষ্ঠানের ঘোষনা অনুযায়ী একজন পর্যটককে ৫ হাজার তাইওয়ানি ডলার দেওয়া হবে।সর্বমোট ৫লাখ সলো ট্রাভেলার্স কে এই প্রনোদনা দেওয়া হবে।

এছাড়া দলগত ভালে অর্থাৎ কয়েকজন মিলে এখানে ঘুরতে এলে তাদের প্রতিটি দল কে দেওয়া হবে ২০ হাজার তাইওয়ানি ডলার।এইভাবে প্রায় ১ লক্ষ টিম কে দেওয়া হবে এই প্রনোদনা।

এর আগে এই দেশের যোগাযোগ মন্ত্রী ওয়াং কূয়ো-সাই বলেছিলেন, আমাদের দেশে আগত অতিথিদের ডিজিটাল মাধ্যমে নগদ এই প্যাকেজের টাকা দেওয়া হবে।

তবে শর্ত থাকে এই অর্থ এই দেশেই খরচ করতে হবে।ঘুরে বেড়াতে পরিবহন ভাড়া, খাবার বিল ও বিভিন্ন হোটেলে থাকার জন্য এই অর্থ ব্যয় করা যাবে।

নির্দিষ্ট সময় বেঁধে না দিলেও অচিরেই এই অর্থ দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়।

Image by Allan Lau from Pixabay 

তাই বাংলাদেশী যারা এই দেশ ভ্রমন করতে চান চোখ রাখুন সেই দেশের পর্যটন খ্যাতের আপডেট ভ্রমন নিউজ এ।আর আপনিও পেতে পারেন এই সুযোগ।

তাইওয়ান ভ্রমনে গেলে যা দেখবেনঃ বাংলাদেশের কক্সবাজার এর মত প্রাকৃতিক সী বিচ না থাকলেও এক তাইপে শহরে আছে হাজারো পর্যটক আকর্ষনের কেন্দ্র।

১।তাইপের ১০১তলা অবজারভেটরী

২।ইয়াং মিং শান জাতীয় উদ্যান

৩।ন্যাশনাল প্যালেস জাদুঘর

৪।লুংশন মন্দির

৫।শিফেন জলপ্রপাত

৬।তাইপে চিড়িয়াখানা

৭।জাতীয় জাদুঘর

৮।জুমিং জাদুঘর

৯।গুয়ান্ডু মন্দির

১০।শেন কেং ওল্ড স্ট্রীট

Post a Comment

0 Comments

হোটেল সী ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার (Hotel Sea World Cox'sbazar)