কক্সবাজার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত (coxsbazar)

কক্সবাজার

কক্সবাজার-দীর্ঘতম সাগর সৈকত (The largest natural sea beach of the world)

কক্সবাজার (Cox’s Bazar) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। 

কক্সবাজার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সুমদ্র সৈকত

এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তর। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। 

এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, যা ১২২ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। 

এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। 

একসময় কক্সবাজার পানোয়া নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হলুদ ফুল। এর আরো একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে পালঙ্কি।

পানোয়া এবং পালঙ্কি নামে আজও স্থায়ী লোকদের মাঝে কক্সবাজারের পরিচিতি রয়েছ।

কক্সবাজারের অবস্থানঃ

চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কি.মি.। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র। 

দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক এবং আকাশপথে কক্সবাজার যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অবধি রেললাইন স্থাপনের প্রকল্প চলমান রয়েছে। 

আশা করা যাচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে শুধ রাজধানী ঢাকা থেকে নয় বরং সারা দেশ থেকে সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

কক্সবাজার নামের ইতিকথাঃ

ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে আজকের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নামকরণ হয়েছ। 

কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।

তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরের পুরোনো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন এবং শরণার্থীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ পুরোপুরি শেষ করার আগেই মারা (১৭৯৯) যান।

তার পুনর্বাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার।

কক্সসাহেবের বাজার হচ্চে আজকের কক্সবাজার। কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।

কেন বলা হয় বিশ্বে সবচেয়ে বড় সাগর সৈকত।(The largest sea beach of the world)

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত একটি বালুকাময় সৈকত। ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।

তবে অস্ট্রেলিয়ার ১৫১ কিলোমিটার (৯৪ মাইল) দীর্ঘ নব্বই মাইল সমুদ্র সৈকত বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত, যদিও অস্ট্রেলিয়ার সৈকতটির কিছু অংশ মনুষ্যসৃষ্ট।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এই সৈকতে আসেন।

সেই জন্য বলা যায়, কক্সবাজার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় ন্যাচারাল সাগর সৈকত।

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান (Important tourist spot in cox’sbazar):

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত - www.ourcoxsbazar.com

শান্ত ও নির্মল সমুদ্র সৈকতটি আমাদের সুন্দর পৃথিবীর দীর্ঘতম (largest sandy sea beach) অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। 

১২০ কি.মি. দৈর্ঘ্য নিয়ে মাথা উঁচু করা এ সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকাময়, কাদার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। 

বালিয়াড়ি সৈকত সংলগ্ন শামুক-ঝিনুকসহ নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপণি বিতান, অত্যাধুনিক হোটেল-মোটেল-কটেজ, নিত্য নবসাজে সজ্জ্বিত বার্মিজ মার্কেট সমূহে পর্যটকদের বিচরণে কক্সবাজার শহরে পর্যটন মৌসুমে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি মায়াবী ও রূপময়ী সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন সকালে কিংম্বা বিকালে এর রূপ পরিবর্তন করে। 

শীত-বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্ম- হেমন্ত এমন কোনো ঋতু নেই যখন সমুদ্র সৈকতের চেহারা বদলায় না। 

পাখী ডাকা ভোরে এক রকম তো প্রখর রৌদ্দের মাঝে এর রূপ অন্য রকম।

কলাতলী বিচ – নাগরিক সুবিধা বিদ্যমানঃ

কলাতলী সী বিচ
কলাতলী সী বিচ - www.ourcoxsbazar.com
জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র। এটা শহর থেকে মাত্র অল্প কিছু দূরে নাগালের মধ্যে অবস্থিত। 

বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন ধরনের মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসেন, সমুদ্রের উষ্ম পানিতে দাপাদাপি ও গোসল করতে আসেন, আসেন প্রাকৃতিক ও প্রবালের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। 

কলাতলী বিচে নানা ধরনের খাবারের রেস্টুরেন্টসহ আছে থাকার জন্য হোটেল এবং রিসোর্টস।আছে আরো অনেক পর্যটন সুবিধা রয়েছে। 

বিশেষ করে চাঁদনি রাতে বিচে হাঁটা সত্যিই রোমঞ্চকর সকল বয়সী মানুষের জন্যই। 

সকাল এবং সন্ধ্যাতে এখানে উপভোগের জন্য রয়েছে নানা ধরনের শুটকি মাছ্সহ, সাথে আছে সামুদ্রিক তাজা মাছ, আরো আছে অনেক সামুদ্রিক খাবার।

লাবনী বিচ – সবচেয়ে পুরাতন বিচ ঃ

লাবনী বিচ
লাবনী বিচ - www.ourcoxsbazar.com

বাংলাদেশীদের কাছে বেড়ানো কথা বললে ভেসে ওঠ সমুদ্র সৈকত (Sea Beach)। চোখে ভেসে ওঠে কক্সবাজারে্র কথা।

এই শহরের সবচেয়ে কাছে কলাতলীতে অবস্থিত কক্সবাজার পুরাতন সি-বিচ যা লাবণী পয়েন্ট বা ওল্ড সি-বিচ হিসেবেও পরিচিত। 

সমুদ্র দেখতে অথবা হানিমুনে বাংলাদেশী মাত্রই ছুটে যান কক্সবাজারের ট্যাডিশনাল এই সি-বিচে। 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কক্সবাজারগামী বাসে করে কলাতলী সি-বিচ রোডে নেমে রিকশা অথবা পায়ে হাঁটা পথে যেতে পারবেন এই বিচ দুটোতে। 

কক্সবাজার শহর থেকে এক পা বাড়ালেই এই বিচ ।এই কারণে লাবণী বিচকে কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। 

নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায়(near sea beach) রয়েছে ছোট বড় অনেক দোকান যা আগতন দেশী বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। 

এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে এই মার্কেট।

মাঝ খানে পর্যটকদের আনাগোনা কম হওয়ায় এখানে এখন বিভিন্ন ইভেন্ট ও এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থা করা হয় প্রায়ই।

হিমছড়ি – পাহাড়ের সবুজ আর সাগরে নীল একাকার ঃ

হিমছড়ি
হিমছড়ি - www.ourcoxsbazar.com

পর্যটনের রাজধানী কক্সবাজার (Tourist Capital of Bangladesh) সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। 

সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এ সমুদ্র সৈকতের নাম হিমছড়ি।কক্সবাজার – টেকনাম মেরিন রোডে এখানকার সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নির্জন,পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্মল । 

হাতের নাগালেই অবস্থিত এর সৌন্দর্যও কোনো অংশে অন্য বিচের চেয়ে কম নয়। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হিমছড়ি যত না সুন্দর তার চাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয়ার মেরিন ড্রাইভ রোডটি।

একপাশে বিস্তৃর্ণ সমুদ্রের বালুকা বেলাভুমি যা সমুদ্রের পানিতে ছুয়ে যাচ্ছে আর এক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি। 

মাঝে মানব তৈরী পিচ ঢালা মেরিন ড্র্রাইভ। এমন দৃশ্য দেশের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। 

কেউ কক্সবাজার এলো অথচ এই পথ ধরে ছুটলো না তার পুরো ভ্রমনই মাটি। পাহাড়ে উঠলে চোখের সামনে ভাসবে নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র। 

এখান থেকে দেখা সুর্যাস্তের ছবি আপনাকে অনেক দিন এই বিচে যাবার তাগিদ দিবে।

ইনানী বিচ – প্রবালের আধিক্যময় সী বিচ 

ইনানী সী বিচ
ইনানী সী বিচ - www.ourcoxsbazar.com

হিমছড়িতে চোখ জুড়িয়ে যাবার পর আরো ০৫ কিলোমিটার গেলেই ইনানী বীচ বা ইনানী সমুদ্র সৈকত। ইনানী বীচে প্রবাল পাথরের ছড়াছড়ি।

অনেকটা নারিকেল জিঞ্জিরা বা সেন্টমার্টিনের মতই। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত এখানে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে না সৈকতের বেলাভূমিতে। 

অনেকটাই শান্ত প্রকৃতির নির্জন ও কোলাহলমুক্ত সৈকত এই ইনানী। জোয়ারের সময় এলে প্রবাল পাথরের দেখা পাওয়া যাবেনা কারন এই সময় তা পানির নিচে থাকবে। 

ভাটার সময়েই কেবল মাত্র বিশাল অঞ্চল জুড়ে ভেসে উঠে এই কোরাল পাথর। প্রবাল পাথরে লেগে থাকে ধারালো শামুক-ঝিনুক। 

তাই এখানে বেশী লাফালাফি করা বিপদজনক অর্থাৎ স্বস্তিদায়ক নয়।ইনানী সৈকতের প্রধান আকর্ষণ প্রবাল পাথর। 

প্রায় প্রতিটা পাথরই একটা থেকে আরেকটা আলাদা নানা আকার আর ধরণের এবং বৈচিত্র্যময়।

সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালীঃ

সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ - www.ourcoxsbazar.com

সোনাদিয়া দ্বীপ (নিঃসঙ্ঘ একটি দ্বীপ) যা কক্সবাজার জেলার সাগরের মাঝে অবস্থিত মহেশখালী উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। 

এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কি.মি.।কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণে এই নিঃসর্গ সুন্দর সাজানো সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। 

একটি মাত্র ছোট খাল দ্বারা এটি মহেশখালী দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। 

তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগরে জম্মানো সবুজ লতায় ঢাকপ্রাকতিক বালিয়াড়ি,কেয়া-নিশিন্দার ঘন ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির লাখো জলচর পাখির দাপাদাপি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। 

কক্সবাজারের বিপরীত পাশে অবস্থিত আলাদা উপকূলীয় ছোট একটি দ্বীপ সোনাদিয়া। এটি বিদেশী অতিথী পাখিদের স্বর্গ। 

মনোরম এ দ্বীপের পশ্চিমাংশে বালুকাময় ও ঝিনুকের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার থেকে প্রায় ০৭ কিলোমিটার দূরে মহেশখালী উপজেলায় এর অবস্থান।

মহেশখালী

মহেশখালী কক্সবাজার

কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের মাঝে অবস্থিত একটি দ্বীপ মহেশখালী। 

মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ হিসেবে পরিচিত মহেশখালীতে রয়েছে হিন্দুদের তীর্থস্থান বিখ্যাত আদিনাথ মন্দির। 

পাহাড়ের একদম চূড়ায় অবস্থিত এই বিখ্যাত মন্দির সারা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি মহা পবিত্র স্থান। 

প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো এ প্রাচীন দ্বীপের সভ্যতা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। নেপালের রাজদরবারের 

বিশেষ বদান্যতায় ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি নতুন রূপ ধারণ করেছে।

আদিনাথ মন্দির

আদিনাথ মন্দির

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন আদিনাথ মন্দির সমুদ্র স্তর থেকে ৮৫.৩ মিটার উচুঁ সুসজ্জিত মৈনাক পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত।

পর্যটন শহর কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত মহেশখালী উপজেলার স্বাধীন গোরখঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রাম আদিনাথ মন্দির এর অবস্থান। 

এটি মূলত মহাদেব-এর মন্দির। জনশ্রুতি আছে, কোনো এক কৃষক এই দ্বীপের একটি বনের ভিতর মহেশ (হিন্দু পৌরাণিক দেবতা মহাদেব-এর অপর নাম)-এর মূর্তি পান। 

এরপর এই দেবতার নামে একটি মন্দির তৈরি করে, সেখানে ওই বিগ্রহটি স্থাপন করেন। 

পরে এই দেবতার নামের সাথে খালী (খাল অর্থে) শব্দ যুক্ত হয়ে-এই স্থানটি মহেশখালী নামে পরিচিত লাভ করে।

ডুলাহাজারা সাফারী পার্ক

ডুলাহাজরা সাফারী পার্ক


এই সাফারি পার্কটি জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে 

অবস্থিত।পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ বন বিভাগের ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লকে অবস্থিত। 

প্রাথমিক ভাবে হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এই প্রাকৃতিক ও মানব তৈরী এই পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ডুলাহাজরা সাফারি পার্কটি ৯০০ হেক্টর পাহাড়ী এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। 

ডুলাহাজারা সাফারি পার্ককে অনেকেই সাফারি পার্ক বলতে রাজি নন, কারণ এখানে প্রাকৃতিক অবকাঠামোর বদলে অত্যাধুনিক ও কৃত্রিম অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বেশি।

সর্বমোট আটটি ব্লকে ভাগ করে গড়ে তোলা এ পার্কে মুক্ত পরিবেশে হাঁটাচলা করা যায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনায়াসে বেড়ানো যায়।

টেকনাফ বাংলাদেশের শেষ থানা

টেকনাফ

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। 

কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৮৬ কিলোমিটার।এই উপজেলার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে নাফ নদী।

এই নাফ নদের থেকেই এই অঞ্চলটির নামকরণ হয়েছে। টেকনাফ উপজেলার দর্শণীয় স্থানগুলোর মধ্যে শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, পৌরসভার কাছাকাছি থানা প্রাঙ্গণে মাথিনের কূপ, বাংলাদেশ-মায়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট, টেকনাফ নেচার গেম রিজার্ভ, শিলখালী চিরহরিৎ গর্জনগাছ বাগান, মারিশবনিয়া সৈকত, কুদুমগুহা অন্যতম।

সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ কক্সবাজার


সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ।

এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ০৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ০৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত।

প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে।

প্রচলিত আছে অনেক অনেক বছর আগে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝাই আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নীচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে, যার ফলে জাহাজে থাকা দারুচিনি এই দ্বীপের সবখানে ছড়িয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নাম হয়ে যায় ‘দারুচিনির দ্বীপ’।

সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। 

এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ Our Coxsbazar টিম দায়ী থাকবে না।

Post a Comment

0 Comments

হোটেল সী ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার (Hotel Sea World Cox'sbazar)