ঢাকা - কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস (coxsbazar train service)


ঢাকা কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস অর্থাৎ ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার বাজার স্বপ্ন অনেকের চোখে লেগে আছে। আশা করা যাচ্ছে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

ধারণা করা যাচ্ছে, চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজার ১০২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ এই চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হয়ে আসবে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চট্রগ্রামের দোহাজারী থেকে পর্যটন ও সৈকতের নগরী কক্সবাজারের আসার ট্রেন লাইনটি চালু হয়ে যাবে।

বর্তমানে এই মেগা প্রকল্পের অংশের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষের পথে রয়েছে। রেললাইনের প্রায় ৯০ কিলোমিটারের বেশী দৃশ্যমান।

ঢাকা কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস জুনেই শুরু হবে।

বাংলাদেশের রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ কালুর ঘাট সেতু আধুনিকীকরণ করতে এবং সেখানে আরো একটি নতুন সেতু নির্মানে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় স্টাডি করা দ্বায়িত্ব বুয়েট এর বিশেষজ্ঞ দলকে দেওয়া হয়েছে।তারা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছ।

আরো পড়ুনঃ নাজিরারটেক, কক্সবাজার (Najirartek)

বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে কক্সবাজাররের নয়নাভিরাম ঝিনুক আকৃতির সৌন্দর্য মন্ডিত প্রধান রেল ষ্টেশনের নির্মাণ কাজ জুনের মধ্যেই হয়ে যাবে।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৮ টি রেলষ্টেশনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। উখিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাও, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, লোহাগড়া, সাতকানিয়াতে স্টেশনগুলো স্থাপিত হয়েছে।

কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকার ২৯ একর জমির উপর ঝিনুক আকৃতিক নান্দনিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত প্রধান রেল স্টেশনটির নির্মান কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।বহুতল বিশিষ্ট এই স্টেশনে ৬টি তলা থাকবে। আয়তন হবে ১লক্ষ ৮২ হাজার বর্গফুট। থাকবে ৩টি প্লাটফরমও। একেকটি ৫৫০মিটার দীর্ঘ এবং ১২মিটার প্রস্থ হবে।

ঢাকা কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস

২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০২২ এর জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছ।

কক্সবাজারের প্রধান স্টেশনের পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ৮টি বহুতল ভবন তৈরী করা হচ্ছে রেলওয়ের কর্মকতা কর্মচারীদের জন্য।

cox'sbazar railway station - www.ourcoxsbazar.com

এই স্টেশন আবাসিক হোটেল, ক্যান্টিন, লকার, গাড়ী পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থা রয়েছে।পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্র সৈকতে ও অন্যান্য স্থানে বেড়াতে পারবেন।

এই স্টেশন দিয়ে দৈনিক ৪৫ হাজার মানুষ আসা যাওয়া করতে পারবে।সাঙ্গু, মাতামুহরী ও বাঁকখালী নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি বড় সেতু।

এই পথে নির্মান করা হচ্ছে ৪৩টি ছোট, বড় ও মাঝারী সেতু। কালভার্ট ও লেভেল ক্রসিং হচ্ছে যথাক্রমে ২০১টি ও ১৪৪টি।বন্যপ্রানীর অবাধ চলাচলের জন্য থাকবে ওভার পাস ও আন্ডার পাস।থাকবে দুইটি হাইওয়ে ক্রসিং। সেগুলো থাকবে রামু আর কক্সবাজারে।

বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট  ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে কত সময় লাগবে

ঢাকা থেকে প্রায় ১০জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার ছেড়ে যাবে।ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগবে মাত্র ৮ঘন্টা। এছাড়া চট্রগ্রাম থেকেও ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।ভাড়া লাগবে ৭০০টাকা থেকে - ১৫০০টাকার মধ্যে।

Post a Comment

0 Comments

হোটেল সী ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার (Hotel Sea World Cox'sbazar)