বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি ভ্রমণে আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।পরবর্তী ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
১৪মার্চ ২০২৩সালে এক গন বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর এতে স্বাক্ষর করেন বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা মাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
এই গনবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় নিরাপত্তা জনিত কারনে দেশী - বিদেশী ও স্থানীয় পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে জেলার বাকি চার টি থানাতে ভ্রমণে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। আলী কদম, লামা, বান্দরবান সদর ও নাইক্ষ্যংছড়ি ছড়িতে পর্যটকদের বেড়ানোর উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে জানান যে, আমরা চাই প্রতিটি পর্যটক নিরাপদ থাকুক। তাই তাদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত উক্ত তিন উপজেলায় ভ্রমণ না করা জন্য স্থানীয়, দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছ।
বান্দরবানের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠ এর সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে যাওয়া ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।
সংগঠনটি নাম কে এন এফ অর্থাৎ কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট। বম সম্প্রদায়ের কিছু বিপথগামী যুবক এই দল গড়ে তোলে।
তারা সমতলের সদ্য গঠিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কিছু সদস্যদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও ট্রেনিং দিয়েছে।
যৌথ বাহিনীর সদস্যরা প্রায় আটমাস তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে নির্মুল করা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত এই অভিযানে মোট ৫৯ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৭ জন কুকি চিনের নেতা ও সদস্য।
অতি সম্প্রতি ১২ই মার্চ ২০২৩ সালে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে একজন সেনা সদস্য মারা যান এবং আরো দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারপর এই নিষেধাজ্ঞাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। সেই সাথে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির লক্ষ্যে যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছ।
আরও পড়ুনঃ
0 Comments