হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় কক্সবাজার (himchori)


হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় কক্সবাজার এর কথা পর্যটকদের মুখে মুখে।পাহাড়, ঝর্ণা ও সাগরের মিলিত সৌন্দর্য্য একমাত্র এই হিমছড়িতে দেখা যায়।

যা পর্যটকদের আর্কষিত করে টেনে আনে।বিমোহিত করে ছেড়ে দেয়।একপাশে আছে দিগন্ত ছোঁয়া সুনীল সাগরের সাথে আকাশের মিতালী।অন্য দিকে আছে সবুজে ঢাকা পাহাড়।

হিমছড়ি এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পর্যটন স্থল। 

হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় কক্সবাজার যেন সৌন্দর্য্যে মিলন মেলাঃ

হিমছড়ি কক্সবাজার থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর পর্যটকের মুখে মুখে শোনা যায় হিমছড়ির নাম।

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে হিমছড়ি অন্যতম।পাহাড়, সমুদ্র, ও ঝর্ণার অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলনমেলা এই হিমছড়ি। 

হিমছড়ির এক পাশে রয়েছে সমুদ্র সৈকত আর অন্য এক পাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের রাশি। 

হিমছড়িতে একটি বিশাল জলপ্রপাত রয়েছে যা পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয়। হিমছড়িতে বর্ষার সময় ছাড়া অনেক সময় ঝর্ণার পানি থাকে না বা শুকনো থাকে। 

অনেক পর্যটক আছে পেয়ে কষ্ট পায়। তারপর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি অনন্য এক আকর্ষণ।অনেকেই বছরে শেষে স্কুল, কলেজ বা ফ্যামিলিগত ভাবে পিকনিক অথবা ভ্রমনে যায়। 

যদি সেটা হয় কক্সবাজারে তাহলে অনেকে যারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নিরিবিলি, পরিবেশ পছন্দ করে তখন হিমছড়ির ঝর্ণা একবার হলেও দেখতে যায়।

১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হিমছড়ি সহ হিমছড়ির  আশে পাশে অনেক পর্যটন স্থানগুলোতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত হিমছড়ি এবং হিমছড়ির আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোকে আবার পুনরায় সংস্কার করেন। 

উঁচু সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠে,পাহাড়ের পাশে সাগর এই সৌন্দর্য দৃশ্য লক্ষ্য লক্ষ্য পর্যটক উপভোগ করতে আসেন হিমছড়িতে।

হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় কক্সবাজার জুড়ে গড়ে উঠেছে জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যান স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে - শিক্ষা, পর্যটন,গবেষণা ও বিনোদন এবং বন ও প্রাণী সংরক্ষণ। 

এই উদ্যানে অনেকগুলো জলপ্রপাত বা ঝর্ণা রয়েছে, এগুলোর মধ্যে হিমছড়ি জলপ্রপাতটি বিখ্যাত। 

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানটি চির সবুজে ভরা এক বৃক্ষের বনাঞ্চল। হিমছড়ি বনাঞ্চলে হাতি,বন্য শুকুর, মায়া হরিণ,বানর ইত্যাদি প্রাণী দেখা যায়। 

এ বনে বিভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী,সরীসৃপ, পাখি ও উভয়চর প্রাণী দেখা যায়। হিমছড়ি বনাঞ্চলে ভাল্লুকের আবাসস্থল। 

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান পাখি প্রেমিকদের জন্য আদর্শ স্থান। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায় এই হিমছড়ি বনাঞ্চলে।  

যেমন - পাখিদের মধ্যে দেখতে পারবেন ফিঙ্গ,  ময়ন,  ও তাল বাতাসি উল্লেখযোগ্য। 

হিমছড়ি
হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় কক্সবাজার - www.ourcoxsbazar.com

হিমছড়ি পাহাড়টি প্রায় ৪০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এই পাহাড়টির উপরে উঠতে রয়েছে একটি সিঁড়ি। 

পাহাড়ে ওঠার সময় অনেক কষ্ট হবে এবং আপনি যখন ৪০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে নিচের দিকে তাকাবেন তখন অনেকটাই ভয় পাবেন। 

বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দিগন্ত বিস্তৃত দেখার জন্য রয়েছে ' পিক '। যাদের পাহাড় থেকে সমুদ্র দেখার অনেক শখ,তাদেরকে টেনে নিয়ে যায় হিমছড়ি উদ্যান ' টপ হিল ' নামে পরিচিত এই পিক।  

এই পিকে আপনারা একসঙ্গে উত্তাল সমুদ্র সাগরের বড় বড় ঢেউ, সমুদ্রের তীর ঘেঁষে ঝাউবন,এরই পাশে দিয়ে পাহাড়ের রাশি ইত্যাদি এগুলো দেখে হৃদয় জুড়িয়ে যাবে। 

৩০ টাকা মূল্যের একটি টিকিট কেটে উঁচু সিঁড়ি বেয়ে উঠে এমন শান্ত দর্শনীয় পরিবেশ আমাদের বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। 

কক্সবাজারে হিমছড়ি পাহাড় চূড়ার মাঝখানে ' হিলটন ' রিসোর্ট রয়েছে। পাহাড় থেকে নামলেই পাবেন অপরূপ সৌন্দর্যময় ঝর্ণা। 

হিমছড়ি ঝর্ণার পানি সাধারণত শীতল হয়ে থাকে । বর্ষাকালে এই ঝর্ণার প্রকৃত রূপ দেখা যায়। 

হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় কক্সবাজার এ যে ভাবে হিমছড়িতে যাবেনঃ

ঢাকা বা যে কোন প্রান্ত থেকে বাস,ট্রেনযোগ,বিমান চট্টগ্রামে আসবেন। বাসে চলাফেরা করা অনেকটাই সুবিধা, কারণ বাসে করে সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারবেন। 

চট্টগ্রাম নামার পর কক্সবাজার যাবেন বাসে করে। এইখানে বেশকিছু এসি বা নন এসি বাস পেয়ে যাবেন। শ্রেণীভেদে বাসগুলোর ভাড়া ৮০০ থেকে শুরু। 

বাংলাদেশ বিমান পথে মাত্র ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার যাওয়া যায়। কক্সবাজার  নিয়মিত নাভো এয়ার রিজেন্ট এয়ারওয়েজে, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজ ভিন্ন ভিন্ন বিমান আসা-যাওয়া করে।

বিমানের ভাড়া ৪,৫০০ - ৮,০০০ হাজার টাকা।এয়ার এসট্রা সবসময় কিছু ডিস্কাউন্ট এর সুযোগ দিয়ে থাকে।

কক্সবাজার আসার পর কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে সিএনজিতে ২৩-২৪ কিলোমিটার দূরে ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে। 

যেতে ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ৮০ টাকা লোকাল ভাড়া। আপনি চায়লে রিজার্ভ করে আসতে পারবেন।রিজার্ভ করতে ৪০০-৫০০ টাকা লাগতে পারে।

সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই আওয়ার কক্সবাজারে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য Our Coxsbazar টিম দায়ী থাকবে না। 

Post a Comment

0 Comments

হোটেল সী ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার (Hotel Sea World Cox'sbazar)